রেলওয়ে প্রস্তুতি শুরু, প্রথমে ট্রেন চালুর পরিকল্পনা।

0
17

করোনা ঠেকাতে লকডাউনের শুরুতেই রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এখন ক্রমান্বয়ে পোশাক কারখানা চালুসহ কিছু ক্ষেত্রে শিথিলতার পথে হাঁটাছে সরকার। এমতাবস্থায় রেল যোগাযোগ চালু করার বিষয়েও তৎপরতা শুরু হয়েছে।

প্রথমে শাকসবজি ও কাঁচামাল পরিবহনের জন্য লাগেজ ভ্যান চালু করা হবে। এরপর সীমিত আকারে আন্তনগর ট্রেন চালু হতে পারে। দু–এক দিনের মধ্যেই লাগেজ ভ্যান চালু করা হতে পারে।

সরকারি সূত্র বলছে, কবে থেকে রেল চালু হবে—সেই বিষয়ে এখনো সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। তবে ৫ই মের পর থেকে রেল চলাচল শুরু করার বিষয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছে রেলপথ মন্ত্রণালয়।



সোমবার রেলের মহাপরিচালক মো. শামসুজ্জামানের সভাপতিত্বে রেল ভবনে একটি প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন লকডাউনের পর প্রথম অফিস করবেন এবং ওই দিন বেলা ১১টায় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক ডেকেছেন মন্ত্রী। ধারনা করা হচ্ছে ওই বৈঠকে রেল চালুর বিষয়ে আলোচনা হতে পারে।

য়দিও রেল যোগাযোগ বন্ধ রাখা সত্বেও কিছু মালবাহী ট্রেন চালু রাখা হয়। এসব ট্রেন দিয়ে মূলত সরকারের জ্বালানি তেল  ও খাদ্যপণ্য পরিবহন করা হয়। এবার লাগেজ ভ্যানের মাধ্যমে পার্সেল ট্রেন চালু হলে  ফলমূল ও শাকসবজি  পরিবহন করা যাবে,এমনকি মাছ–মুরগি পর্যন্ত পরিবহন করা যাবে।

যদিও বিভিন্ন মেইল ও লোকাল ট্রেনে যাত্রীবাহী বগির সঙ্গে এক বা একাধিক লাগেজ ভ্যান যুক্ত করে দিয়ে মালামাল পরিবহন করা হতো। এখন এসব ভ্যান একত্রিত করে আস্ত একটা পার্সেল ট্রেন বানিয়ে চালানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চল, উত্তরবঙ্গ ও চট্টগ্রামের পথে এমন চারটি পার্সেল ট্রেন চালানো হতে পারে।



রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, সরকার লকডাউন তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে তাঁরা ট্রেন চালু করে দিতে পারবেন। সেই প্রস্তুতি তাঁদের আছে। প্রথমে কাঁচামাল পরিবহনেরর জন্য পার্সেল ট্রেন চালু করা হবে। পরবর্তীতে যাত্রীবাহী ট্রেন চালু হবে। তিনি জানান, বৃহস্পতিবারের বৈঠকে রেলের বিভিন্ন প্রকল্পের বিষয়ে আলোচনা করার পাশাপাশি ট্রেন চালু হলে যাত্রীদের সুরক্ষার বিষয়েও আলোচনা হবে।

রেলের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, সোমবারের বৈঠকে সরকারের সিদ্ধান্ত পেলে দুই দিনের মধ্যেই যাতে টেন চালু করা যায়, সেই প্রস্তুতি নিয়ে রাখার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি রেল চালু হলে সতর্কতামূলক কি ব্যবস্থা নিতে হবে, সেই বিষয়ও উঠে আসে। কর্মকর্তাদের কারও কারও মত হচ্ছে দুই পর্বে ট্রেন চালু করা। ৫ মের পর সরকার লকডাউন তুলে দিলে প্রথমে সব ট্রেন চালু না করার পক্ষে তাঁরা। ১৫ মের মধ্যে পুরো রেল ব্যবস্থা সচল করার ভাবনার কথা জানিয়েছেন কেউ কেউ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here