সারাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হারে বাড়ার কারণে রাঙামাটি , খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের সব ধরনের পর্যটনস্পট ও বিনোদন কেন্দ্র আগামী ২ সপ্তাহের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। একই সঙ্গে সব ধরনের সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে জনসমাগম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আজ বুধবার পৃথক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ছবিঃ সংগৃহীত
তিন পার্বত্য জেলার জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানান, আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকেই তিন পার্বত্য জেলার পর্যটনকেন্দ্রগুলো দুই সপ্তাহের জন্য বন্ধ থাকবে। কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে আবাসিক হোটেল, মোটেল খোলা রাখা যেতে পারে।
বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি প্রথম আলোকে বলেন, করোনা পরিস্থিতি অবনতির কারণেই পর্যটনকেন্দ্র সাময়িক বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও পর্যটনকেন্দ্র বন্ধের পাশাপাশি রাঙামাটিতে রাত আটটার পর বিপণিবিতান, মার্কেট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
বৈঠকে রাঙামাটির সব পর্যটন স্পট ও বিনোদন কেন্দ্র ১৪ দিনের জন্য বন্ধ ঘোষনাসহ সব ধরনের গণজমায়েত (সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় ইত্যাদি) দুই সপ্তাহের জন্য বন্ধ; সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের আয়োজিত সভা, সেমিনার, প্রশিক্ষণ ও কর্মশালা অনলাইনে আয়োজন; রাত ৮টার মধ্যে ওষুধের দোকান ছাড়া সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ; সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখা; সব হোটেল ও রেস্তোরাঁয় ৫০ শতাংশের অধিক মানুষের প্রবেশ নিষিদ্ধসহ ২১ দফা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে পরবর্তী ১৪ দিন জেলার সব পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।এদিকে উচ্চমাত্রার করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সারাদেশের মতো খাগড়াছড়িতে রাত ১০টার পর জরুরি সেবা ছাড়া অন্যসব কাজে নিয়োজিত ব্যক্তি ও পরিবহনের চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, খাগড়াছড়িতে গত এক মাসে ১৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। সর্বমোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৪৩ জনে।বান্দরবানে গতকাল পর্যন্ত ৫ হাজার ৮৪৭টি নমুনা পরীক্ষা করে ৯২০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। রাঙামাটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।