ছবিঃ সংগৃহীত
করোনার মহামারির কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর খুলে দেয়া হয়েছে কক্সবাজার, সেন্টমার্টিন, সুন্দরবনসহ দেশের প্রায় সব পর্যটনকেন্দ্র। তবে ভ্রমণের সময় বেশ কিছু নিয়মাবলী মেনে চলতে হবে।
নিজেদের এবং পরিবারের সুরক্ষার কথা ভেবেই মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি । যেসব বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি তার অন্যতম হলো–
শারীরিক ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা।
আর পুরো ভ্রমণেই মাস্ক পরতে হবে। সরকারের পক্ষ থেকে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। না পরলে গুনতে হবে জরিমানা।
এ ছাড়া হাত সবসময় জীবাণুমুক্ত রাখতে হবে। এ জন্য হাতের কাছে বা পকেটে সবসময় জীবাণুনাশক স্প্রে রাখাটা জরুরি।
বাস, ট্রেন, লঞ্চ বা বিমানে যে কোন মাধ্যমেই ভ্রমনের সময় যথাসম্ভব ভিড় এড়িয়ে চলনু , নিজের আসনটি অবশ্যই জীবাণুনাশক দিয়ে স্প্রে করুন।
হোটেলের বিছানাও জীবাণুনাশক দিয়ে স্প্রে করুন। অথবা রুমটি জীবাণুমুক্ত কিনা নিশ্চিত হয়ে নিন।
রেস্টুরেন্টে খেতে গেলেও সেটি কতটা জীবাণুমুক্ত তা জেনে নিন। সব চেয়ে ভালো হয় চলাফেরায় সবসময় সঙ্গে রাখুন সঙ্গে রাখুন জীবাণুনাশক স্প্রে।
সুন্দরবন
১ নভেম্বর থেকে পর্যটকদের জন্য খুলেছে সুন্দরবন। তবে এখন সুন্দরবন ভ্রমণ করতে মানতে হবে ৫টি শর্ত।
শর্তগুলো হলো–
কোনো ট্রলারে ২০ জনের বেশি পর্যটক বহন করা যাবে না।
কোনো ট্রলারে মাইক বা সাউন্ডবক্স ব্যবহার করা যাবে না।
পর্যটকরা খাদ্য ছাড়া অন্য কোনো পণ্য বহন করতে পারবেন না।
প্রতিটি ট্রলারে স্যানিটাইজ ও বর্জ্য ফেলার ঝুড়ি রাখতে হবে।
যারা সমুদ্র দেখতে পছন্দ করেন,তারা প্রথমেই যেতে পারেন কক্সবাজার। এটি পৃথিবীর সর্ববৃহৎ সমুদ্রসৈকত। এর পাশেই আছে সেন্টমার্টিন দ্বীপ। আরও যেতে পারেন সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের দেশ কুয়াকাটা। অন্যদিকে পাহাড় যাদের কাছে টানে, তারা যেতে পারেন রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি। পাহাড়, অরণ্য আর আদিবাসীদের বর্ণিল সাজে সজ্জিত এ জনপদ আপনার মনে এনে দিবে এক অন্যরকম আনন্দের অনুভুতি।
এ ছাড়া হরিণের রাজ্য দেখতে হাতিয়ার নিঝুমদ্বীপ, পাখির রাজ্য দেখতে সিলেটের হাওর ও ভোলা-নোয়াখালীর উপকূলের বিভিন্ন কাদাচর যেতে পারেন। প্রকৃতির যেদিকেই চোখ বুলাবেন সেদিকেই দেখা মিলবে রূপসী বাংলার মায়াবী রূপ।
সেন্টমার্টিন
সম্প্রতি সেন্টমার্টিনের পরিবেশ-প্রতিবেশ রক্ষায় ছয় ধরনের কার্যক্রম বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, এখন থেকে সেন্টমার্টিনের সৈকতে কোনো ধরনের যান্ত্রিক যানবাহন যেমন মোটরসাইকেল ও ইঞ্জিনচালিত গাড়ি চালানো যাবে না। রাতে আলো বা আগুন জ্বালানো যাবে না।
কারণ সেন্টমার্টিনের ছেঁড়াদ্বীপ অংশে এখনও কিছু সামুদ্রিক প্রবাল জীবিত আছে। এসব প্রবাল সংরক্ষণের জন্যই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।