বর্তমান সময়ে তরুণ প্রজন্মের ছেলে মেয়েদের কাছে মাথার চুলে ব্লিচ অথবা কালার করা যেন একটি নেশায় পরিনত হয়েছে। বিশেষ করে নারীদের সাজ সজ্জার একটি বিশেষ আকর্ষণ এটি ।
ছবিঃ সংগৃহীত
কালার বা ব্লিচ করলে চুল যেমন নতুন রঙ পায়, চুলকে আরও বেশি উজ্জ্বল এবং সুন্দর দেখায় তেমনি কিন্তু চুলে ব্লিচ করলে চুলের অনেক বেশি ক্ষতিও হয়। এক্ষেত্রে বিভিন্ন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও লক্ষ্য করা যায়।আসুন চুলে কালার বা ব্লিচ করার কিছু নেতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে জেনে নিই।
১। চুল ব্লিচ করলে চুলের অনেক ক্ষতি হয়। যেমন চুল ভেঙে পড়া, চুলের গোঁড়া ভাঙ্গা, এমনকি এ সময় চুলের বৃদ্ধিও হ্রাস পায়; কোনো কোনো ক্ষেত্রে একদম বন্ধই হয়ে যায়।
অতিরিক্ত পরিমাণে তেল, বাতাস, ধুলো, ক্ষতিকারক সূর্যের রশ্মি ছাড়াও আরও অনেক কিছুই চুলকে আরও দুর্বল করে দেয়।
২। ব্লিচের কারনে চুল তার প্রয়োজনীয় প্রোটিন সংগ্রহে বাধাগ্রস্ত হয়। যার কারনেই মূলত চুলের ভাঙ্গা শুরু হয়। এছাড়াও চুল নিজের ময়েশ্চার ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়।
৩।ব্লিচিং করার অর্থই হলো চুলে ক্ষতিকারক পদার্থের ব্যবহার। জারণ পদ্ধতি অনুসরন করে ব্লিচিং করা হয়। এ পদ্ধতিতে চুল অনেক বেশি শুকিয়ে আসে। ফলে চুল অনেক বেশি রুক্ষ হয়ে যায়। ।তাই ব্লিচ এর পর চুল সুন্দর দেখালেও বিপরীতে চুল আরও বেশি রুক্ষ, শুষ্ক, ও নিস্তেজ হয়ে পরে।
৪। ব্লিচের কারনে মাথার স্ক্যাল্পেও ক্ষতি হতে পারে। মাঝে মাঝে অনেক বেশি জ্বালাপোড়া অনুভব হয়। তবে শুধু মাত্র কালার অথবা ব্লিচ করার মুহূর্তেই এটা অনুভূত হয়। যদিও এটা কখনো কখনো কিছুদিন পর্যন্তও স্থায়ী হয়।
৫। চুল তার প্রকৃত রঙ হারিয়ে ফেলে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় চুলের রঙ অনেক বেশি বাজে হয়ে যায়; ফ্যাঁকাসে দেখায়। মূলত কালার করার প্রসাধনী গুলো সঠিক পরিমানে এবং সঠিক পদ্ধতিতে ব্যাবহার করতে না পারার কারনেই এমনটা হয়।
৬। ব্লিচিং অনেক বেশি যত্নের প্রয়োজন পরে; আর সে যত্নের পেছনে অনেক বেশি অর্থ ব্যায়ের প্রয়োজন হয়। ব্লিচ এর পর চুলের সঠিক যত্ন না নিতে পারলে চুলের অনেক বেশী ক্ষতি হয়। ফলস্বরূপ, চুল ওঠা, ভাঙ্গা, গোঁড়া ফাটা, বৃদ্ধি কমে যাওয়া সহ আরও নানা ক্ষতি হয়। কাজেই যত্ন ভালো মত করতে না পারলে ব্লিচিং না করাই ভালো।