গাঢ় রঙের ডিমের কুসুম বেশি স্বাস্থ্যকর ?

0
2

প্রোটিনের অন্যতম উৎস হল ডিম ,ডিম শিশু থেকে বয়স্ক সবারই পছন্দের খাবার । কোনো কোনো ডিমের খোসা সাদা আবার কোনোটার লালচে হয়। আবার কুসুমের ক্ষেত্রেও কোনোটা হলুদ এবং কোনোটা কমলা দেখা যায়।

 ছবিঃ সংগৃহীত




অধিকাংশ মানুষেরই ধারণা, কুসুমের রঙ যত গাঢ় হয় ওই ডিম তত স্বাস্থ্যকর। তবে ইউএসডিএ-র গবেষকদের মতে, কুসুমের রঙ নির্ভর করে মুলত মুরগির খাবারের ওপর। যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকদের মতে, দু’টি কারণে কুসুমের রঙ গাঢ় হতে পারে। এর মধ্যে একটি হলো- যদি মুরগিটি খোলা জায়গায় ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ পায় এবং প্রাকৃতিক খাবার থেকে পুষ্টি পায় ,মুরগি খোলা জায়গায় যত বেশি ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ পাবে, তার ডিম ততই গাঢ় রঙের হবে। দ্বিতীয়টি হলো যদি মুরগিটিকে বিশেষ ধরনের খাবার খাওয়ানো হয় তাহলেও এর ডিম গাঢ় হতে পারে। আর ডিমের কুসুমের রঙ কমলা হয় ক্যারোটিনয়েড নামের এক রকম রাসায়নিকের প্রভাবে। কুসুমের রঙ যাতে গাঢ় হলুদ বা কমলা হয়, এজন্য অনেক খামারের মালিক মুরগিকে ক্যারোটিনয়েড সমৃদ্ধ খাবার যেমন- লাল ক্যাপসিকাম খাওয়ান। কিন্তু তাতে কুসুমের খাদ্যগুণ বা পুষ্টিগুণে খুব একটা পার্থক্য হয় না।



যুক্তরাষ্ট্রের ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অব এগ্রিকালচার (ইউএসডিএ) এর গবেষকদের মতে, একটি ৫০ গ্রাম ওজনের ডিমে ৭২ ক্যালরি ও ৪ দশমিক ৭৫ গ্রাম ফ্যাট ( যার মধ্যে দ্রবণীয় মাত্র ১ দশমিক ৫ গ্রাম) থাকে। সাদা ও লাল ডিমে এই পুষ্টিগুণের পরিমাণ প্রায় এক। এ কারণে লাল বা সাদা যাই হোক না কেন দু’ধরনের ডিমের খাদ্যগুণ বা পুষ্টিগুণ প্রায় সমান।
গবেষকরা বলছেন, খামারের যে কোনও মুরগির চেয়ে প্রাকৃতিক উপায়ে পুষ্টিকর খাবার খুঁজে খাওয়া মুরগির ডিমে ভিটামিন ই, ভিটামিন এ আর ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। আর রঙও গাঢ় হয়।
সূত্র : জি নিউজ

SHARE
Previous articleঅস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন ডায়াবেটিস রোগ বৃদ্ধি পাওয়ার অন্যতম কারন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here