বাঙালীর খাবারের তালিকায় মাছ অন্যতম প্রিয় খাবার, আর সেটা যদি হয় ইলিশ মাছ তাহলে তো কথাই নেই। স্বাদ ও গন্ধের পাশাপাশি পুষ্টিগুণে ভরা আমাদের জাতীয় মাছ ইলিশ । ইলিশের অনেক উপকারিতাই আমাদের অজানা।
ছবিঃ সংগৃহীত
প্রতি ১০০ গ্রাম ইলিশে রয়েছে প্রায় ২১ দশমিক ৮ গ্রাম প্রোটিন, উচ্চ পরিমাণ ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড, নায়সিন, ট্রিপ্টোফ্যান, ভিটামিন, বি ১২, সোডিয়াম, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনে সিয়ামসহ অন্যান্য ভিটামিন ও মিনারেলস। আসুন ইলিশের কিছু উপকারিতার কথা জেনে নিই।
রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়
রক্তনালি ভালো রাখতে ইলিশ মাছ বেশ উপকারী। এতে ইপিএ ও ডিএইচএ নামক ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে যার কারণে ইলিশ মাছ খেলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়।
হার্ট ভালো রাখে
হার্টের সুস্থতা বজায় রাখতে ইলিশের জরুরী ভূমিকা রয়েছে। এতে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে যা রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। সামুদ্রিক মাছ হিসেবে ইলিশে সম্পৃক্ত চর্বি কম থাকে। ফলে হার্ট সুস্থ থাকে ।
দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে
চোখের দৃষ্টি ভালো রাখতে সাহায্য করে ইলিশ। এতে থাকা ভিটামিন এ এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড চোখের সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়ার সমস্যা কাটাতেও সাহায্য করে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড।
ত্বক ভালো রাখে
ইলিশে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাট ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করে। এতে থাকা প্রোটিন কোলাজেনের অন্যতম উপাদান। এই কোলাজেন ত্বক নমনীয় রাখতে সাহায্য করে এবং বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না ।
খনিজ উপাদান
ইলিশে রয়েছে আয়োডিন, সেলেনিয়াম, জিঙ্ক, পটাশিয়াম ইত্যাদি উপাদান । থায়রয়েড গ্ল্যান্ড সুস্থ রাখে আয়োডিন, সেলেনিয়াম উৎসেচক ক্ষরণে সাহায্য করে যা ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করতে পারে।ইলিশে থাকা খনিজ, বিশেষ করে ফসফরাস দাঁত এবং ক্যালসিয়াম হাড়ের পুষ্টির জন্য প্রয়োজনীয়। সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও লৌহ স্বাভাবিক শরীর বৃদ্ধি এবং মানসিক বিকাশের জন্য জরুরি উপাদান।
ভিটামিন
ইলিশে আছে ভিটামিন এ, ডি এবং ই। ভিটামিন এ রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে এবং ডি শিশুদের রিকেট রোগ থেকে রক্ষা করে।
